বুধবার, ১০ মে, ২০১৭

এ কেমন প্রবাস?জেদ্দা,সৌদি আরব। ইমরান খান।

এ কেমন প্রবাস?কেউ বাঁচে কেউ মরে,আরবের ঘরে উল্লাস যখন,অভিশাপ তখন আজনবীর দুয়ারে!প্রবাসী নামের নিস্প্রান দেহ গুলো বাঁচে কেবল পরিবারের জন্য। লালসা, কামনার কোষাগারে তৃপ্তির ভান্ডার কে দেখে কারে!প্রবাস জীবনের গভীর রজনীতে অসুস্হ শরীল নিয়ে কাল মাকে খুব মনে পড়ল। ফুঁপিয়ে কান্না করতেও পারছিলাম না।দেশ পাল্টিয়ে মনে হলো পৃথিবীর পরিধি যেন খুব ছোট হয়ে গেল! রুমের সবার ঘুমের ব্যাঘাত ঘটার ভয়ে বাহিরে বেরিয়ে এলাম।বড় করে কান্না করতে পারছিনা তবে দু,চোখের পানি যেন শত চেষ্টা করেও আটকাতে পারছিলামনা!পুরো শহর ঘুমে নীরব-নিথর-নিস্তব্ধ। বহু জাতি, বহু ধর্মের মানুষের বাস এই প্রবাসে।প্রবাস জীবনের একাকীত্বের গহীন রাতে কান্না করার অধিকারও তাই সীমিত। সবাই ব্যস্ততার অবসরে ঘুমে অচেতন, কেউ এমন নাই এই বলে সান্ত্বনা দেবার ভাই কান্না করেনা। সকল অসহায়ত্বের মাঝে যিনি সহায়, সেই আল্লাহর কাছে আমার মায়ের জন্য মন ভরে দোয়া করলাম।প্রথম বুঝতে পারলাম মা কত বড় নিয়ামত। ফজরের নামাজ শেষে আবার মায়ের জন্য মন ভরে দোয়া করে নিজেকে সমার্পন করলাম শেষ রাতের বিছানায়!!! প্রবাসী'রা আসলে কখনো চিৎকার করে কাঁদতে পারেনা।
তাদের কান্নার আওয়াজ বুকের ভিতরেই আটকিয়ে রাখতে হয়।যার কারণে মাঝে মাঝে প্রবাসীদের বুকের ভিতরে কষ্ট গুলো বিকট আকার ধারণ করে,আর চালায় একের পর এক কষ্টের সাইক্লোন।এই সাইক্লোন যদি দুনিয়ার বুকে চলতো তাহলে দুনিয়া আর দুনিয়া থাকত না,
সব কিছু ধ্বংস হয়ে যেত।ভাবলাম একটু চিৎকার করে কষ্ট গুলোকে বাহির করতে চেষ্টা করবো।তখনি হয়তো আশ পাশ থেকে উৎসুক কিছু পরিচিত হাসি মুখের দেখা মিলবে।
যাদের ইচ্ছে নাটকের শেষ অংশ টুকু দেখার।বুঝতে বাকী নেই আসলে প্রবাসী'রা অনেক বড় অভিনেতা,সেই উৎসুক হাসি মুখ ধারি দর্শকগুলো কে নিরাশ করে দেই।তাঁরপর কষ্ট গুলো কে পাথরচাঁপা দিয়ে ছোট একটা হাসি দিই।আর সেই হাসি দিয়ে উৎসুক হাসি মুখী দর্শকদের কে বুঝিয়ে দেই আমরা প্রবাসী'রা অনেক ভালো আছি।কোন কষ্টই আমাদের মাঝে নেই।কিন্তু ঐ পরিচিত উৎসুক হাসি মুখ ধারি দর্শক গুলো কি ভাবে বুঝবে সেই অভিনেতার কষ্ট মাখা হাসির রহস্য!!
আমি ভাল আছি মা♥

(বিঃদ্রঃযারা কাজের জন্য সৌদিয়াতে আসার জন্য পাগল হয়েছেন তাদের প্রতি অনুরোধ দেশের দিন মজুরী এদেশের যেকোন কাজের চেয়ে উত্তম। সৌদিরা এখন ১০ টাকার জিনিসও বাকীতে ক্রয় করতে দোকানে আসে। সত্যিই সৌদিয়ার অবস্হা খুবই খারাপ। কোন রকম ব্যবসা নেই বললেই চলে। সবার মঙ্গল কামনা করলাম। সবাই আমার জন্য দোয়া করবেন।)

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

জুমার নামাজটা পড়তে পারলাম না।

একটার দিকে হানিফ পরিবহনে উঠলাম। আমার কোণাকুণি সামনের সিটে বসেছেন হুজুরটাইপ একজন লোক। তিনি বাস ছাড়ার পরপরই সুপারভাইজারকে বললেন ভাই আমি জুমা ...