সোমবার, ৬ ফেব্রুয়ারি, ২০১৭

গরীব হইলে গরীবের কথা মনে পড়ে রে...........!!


এই ছবিটি ধারন করেন ভাগিনা খালেদ।ছবিটি নলুয়া তালতল থেকে ধারনকৃত।অলস সময়ের এক ফাকে যখন আমরা সূর্যাস্তের ছবি তুলতে মত্ত,ঠিক সেই সময়ে ক্যামরায় বন্দি হয় কেটে খাওয়া পরিশ্রমী এই ভ্যান চালক বশির। তার সাথে কিছু কথা হলো আর জানলাম তার মনের কিছু অব্যক্ত ভাষা। দিন আসে দিন যায়।
জীবন বুনে স্বপ্ন বানাই! মানবজমিনে অনেক চাষ চাই!
আছিলাম নিরাপদ, হইলাম সাধারণ।কোনদিন যেই জায়গায় খেয়াল করি নাই সেই জায়গায় চোখ পড়ল আজ।তাদের জন্য লিখতে মন চায়,গরীব বলে তাদের গল্পের মতো বাস্তব কাহিনী ও কেউ পড়েনা।সবাই লিখনে ও রাজকুমার আর রাজকুমারীর লিখা পড়তে ভালবাসে। জোর করে তো আর সম্ভব নয়। আমার মত যারা আছেন মুষ্টিমেয় কয়েকজন পড়লেই হয়তো অন্তত তাদের নিয়ে ভাববেই। আমাদের বাড়ির পাশে এক ভিক্ষুক ভিক্ষা করত। এক দিন সে দুঃখ করে বলল, "এই মহল্লায় এত ট্যাকাওলা মাইনসে থাকে, কিন্তু ভিক্ষা পাওন যায় না। এর থেইক্যা অনেক বেশি ভিক্ষা পাওয়া যায় রেল লাইনের ধারে বস্তির পাশে যেই মহল্লা আছে সেইখানে বইলে। গরীবে গরীবের দুঃখ বুজে, বড়লোক কোনো দিনও গরীবের দুঃখ বুজতো না।রোজার প্রচলন ঠিক হয়তো এই কারণেই। একমাস অভুক্ত থেকে সারা বছর যারা অভুক্ত থাকে, তাদের দুঃখ বোঝার চেষ্টা। যাতে করে অভুক্ত ও দুঃখী মানুষের প্রতি সহমর্মী হওয়া যায়। সংযমের মাসে অভুক্ত থেকে আমরা বঞ্চিত মানুষের দুঃখ বুঝতে পারি। অভুক্ত না থেকে কখনও অভুক্ত মানুষের কষ্ট বোঝা সম্ভব না। সেই ভিক্ষুকের কথাই ঠিক। আসলেই গরীবে গরীবের দুঃখ বুঝে। ধনী মানুষ মুখে যতই দরদ দেখাক, গরীবেরর দুঃখ কোনদিনও বুঝে না। এসি গাড়িতে চড়ে গরীব মানুষের ক্ষুধার জ্বালা যেই নেতারা বুঝতে চায়, তারা ভণ্ডামি করে। তাদের পক্ষে কোন দিনও গরীব মানুষের কষ্ট বোঝা সম্ভব না। যেমন রমজান এলে সবাই বলে জিনিসপত্রের দাম বেড়েছে।তবে আমাদের দেশের সব রাজনৈতিক দলের খাদ্যমন্ত্রী মহোদয় বলেন, আশে পাশের দেশের তুলনায় আমাদের দেশে জিনিসপত্রের দাম তেমন বাড়েনি। তার মানে হইল, তাহারা ম্যাসেজ দিচ্ছেন আপনেরা (ব্যবসায়ীরা) এত কম বাড়াইলেন ক্যান ? ইচ্ছা করলে আরও বাড়াইতে পারেন। আমরা লাইসেন্স দিয়া দিতাছি। উনারা মন্ত্রী হওয়ার ফলে সাধারণ মানুষের দুঃখ-দুর্দশা বুঝতে পারেন না।সেই কাল থেকে আজ পর্যন্ত কোন মন্ত্রী সাধারণ মানুষের দুঃখ-কষ্ট বুঝতে পারেনি। সাধারণ মানুষের দুঃখ-কষ্ট বুঝতে হইলে আগে নিজেকে  সাধারণ মানুষ হইতে হইবে। মন্ত্রিত্বের গদীতে আরামে জীবন কাটল যাদের, তাদের পক্ষে সাধারণ মানুষের দুঃখ-কষ্ট বোঝা কখনো সম্ভব না। আসলে, গরীব না হইলে কেউ গরীবের দুঃখ বুঝে না।আসলে গরীবের দুঃখ কতটুকু। গরীব হইলেই গরীবের কথা মনে পড়ে রে .......!!

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

জুমার নামাজটা পড়তে পারলাম না।

একটার দিকে হানিফ পরিবহনে উঠলাম। আমার কোণাকুণি সামনের সিটে বসেছেন হুজুরটাইপ একজন লোক। তিনি বাস ছাড়ার পরপরই সুপারভাইজারকে বললেন ভাই আমি জুমা ...