মঙ্গলবার, ২০ মার্চ, ২০১৮

মোরগের বিরুদ্ধে মুরগীকে ধর্ষণের অভিযোগ! ইমরান খান।

বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে নারীবাদ একটি হাস্যকর পর্যায়ে পৌঁছেছে। ভাগ্য ভাল, মোরগের বিরুদ্ধে মুরগীকে ধর্ষণের অভিযোগ
এনে কেউ মামলা করেনা, নইলে ডিমের মত সুস্বাদু খাবার থেকে আমরা বঞ্চিত হতাম।সাম্প্রতিক সময়ে এই সাইডে আমার সাথে বেশ কিছু ভাল লেখিকাদের বন্ধুত্ব হয়েছে! তাদের লিখাগুলো বেশ মনযোগ সহকারে পড়া হয়, কিন্তু তারা বেশ ভাল লেখিকার সার্টিফিকেট আছে বলে তাদের লিখা নিয়ে মন্তব্য করার মত দুঃসাহস করিনি কখনো। তবে নিজের টাইমলাইনে নিজের ব্যক্তিগত মত প্রকাশ করতে কখনো কুন্ঠাবোধ করিনা। ইদানিং আমি কিছু কিছু নারীবাদীদের পুরুষদের প্রতি ঘৃণা দেখে রীতিমত আতংকিত। কেউ কেউ মনে করেন পৃথিবীর সব পুরুষরাই খারাপ এবং সবাই ধর্ষক। নারীদের ধর্ষণ করাই বোধহয় পুরুষদের একমাত্র কাজ। তাদের প্রতিহিংসাটা এমন পর্যায়ে গিয়ে দাড়িয়েছে নারীর গর্ভে পুরুষ ভ্রুন দেখামাত্রই তাকে হত্যা করা উচিৎ। পুরুষ মানেই খারাপ, পুরুষ মানেই ধর্ষক। তাদের মাথায় রাখা উচিৎ, তাদের বাবাও একজন পুরুষ, তাদের ভাইও একজন পুরুষ। কয়েকজন ধর্ষকের কারনে পুরো পুরুষজাতিকে ঘৃণা করার কোন যুক্তি খুজে পাইনা।
 নারী অধিকার মানেই উলঙ্গ হয়ে রাস্তায় চলাফেরা করা না। হ্যা, আপনার পোশাক পড়ার স্বাধীনতা অবশ্যই আছে, তবে অবশ্যই তা দেশভিত্তিক নিয়ম কানুন, ধার্মিক অবস্থান এবং সমাজের সাথে মানানসই হতে হবে। বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে যদি আপনি উলঙ্গ হতে হাঁটতে চান এবং যদি বলেন পুরুষদের না তাকাতে তাহলে আপনি বোকার স্বর্গে বাস করছেন। ইউরোপেও যদি কোন মেয়ে দেখতে সুন্দরী হয়, তার দিকেও মানুষ তাকায়, তার সাথে ভাব জমাতে চায়। এটা পুরুষদের স্বাভাবিক আচরন ঠিক যেমনটি মেয়েরা কোন সুদর্শন ছেলে দেখলে তার দিকেও তাকায়। সুন্দরী মেয়ে দেখলে তার দিকে তাকানো আমাদের মজ্জার ভিতরে এবং এটা একটি জৈবিক কারন। আবার যদি মেয়েরা সাজুগুজু করে, কোন ছেলে যদি না তাকায়, ওই নারীরাই আবার বলে, ওই ছেলেটা হয়ত গে অথবা তার কোন সমস্যা আছে। ডাবল স্ট্যান্ডার্ড আর কাকে বলে!

শুধু মানুষ নয়,পুরো প্রানীজগতে সবাই নারীদের অর্জন করতে চায়। অনেক পুরুষ প্রানী! নারী প্রানীকে পাওয়ার জন্য যুদ্ধ করে, যেটা মানুষেরাও করে থাকে। অনেক প্রানী সুন্দর বাসা বানায়, গান করে, পালক তুলে নাচে শুধু মেয়েদের আকৃষ্ট করার জন্য, মানুষও তাই। মেয়েরা ডিমে তা দেয়, পুরুষরা খাবার সংগ্রহ করে আনে। ভাগ্যক্রমে প্রানীজগতে নারীবাদ নেই, নইলে পুরো প্রানীজগতে গন্ডগোল লেগে যেত।যাই হউক এই নারী বাদীদের জন্য কিছু প্রশ্ন রেখে গেলাম!

♦বাংলাদেশে কয়জন মেয়ে রেস্টুরেন্টের বিল দেন?
♦কয়জন মেয়ে দেনমোহরের টাকা নিতে অস্বীকৃতি জানান?
♦কয়জন মেয়ে বেকার ছেলেকে বিয়ে করতে চান?
♦কয়জন মেয়ে ডিগ্রি অর্জন করার পরেও বড়লোক জামাই না খুঁজে নিজেই চাকরির খোঁজে নেমে যান?
♦কয়জন মেয়ে পরিবারের ছেলের আশায় না থেকে নিজেই সংসারের হাল ধরেন?
♦কয়জন মেয়ে স্বামীর অত্যাচারের কারনে স্বামীর বিরুদ্ধে মামলা করেন?

যে দেশে নারীরাই পুরুষের পরজীবী হয়ে বাঁচতে চায়,সেখানে নারীবাদ একটা তামাশা ছাড়া আর কিছুই নয়।আমার কাছে নারীবাদের চেয়ে মানবতাবাদ বেশি গুরুত্বপূর্ণ, যেখানে নারী পুরুষের কোন ভেদাভেদ নেই।জগতের সকল নারী-পুরুষ সুখী হোক।




কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

জুমার নামাজটা পড়তে পারলাম না।

একটার দিকে হানিফ পরিবহনে উঠলাম। আমার কোণাকুণি সামনের সিটে বসেছেন হুজুরটাইপ একজন লোক। তিনি বাস ছাড়ার পরপরই সুপারভাইজারকে বললেন ভাই আমি জুমা ...