মহান রব মানুষকে সৃষ্টি করার পর, ধনী-গরিব, সুস্থ-অসুস্থ, শিক্ষিত-অশিক্ষিত, চাকুরিজীবী-গৃহকর্ত্রী যে যা-ই হই না কেন, সবাইকে একটি সম্পদ দিয়েছেন। তাহলো সময়। আমরা প্রত্যেকে এই সময় নামের মূলধন নিয়ে পৃথিবীতে এসেছি। আর আমাদের কাজ হচ্ছে এই মূলধন খাটিয়ে যতটা সম্ভব লাভ করে যাওয়া। কিন্তু প্রতিমুহূর্তে এই মূলধন একটু একটু করে ফুরিয়ে যাচ্ছে। তাই একে আমরা কীভাবে ব্যবহার করে কত লাভ করতে পারছি, তার উপর নির্ভর করে একসময় কে সফল হবো, আর কে দেউলিয়া হয়ে শেষ হয়ে যাবো। ফেইসবুক আসার পর থেকে আপনি কি লক্ষ্য করেছেন, ফেইসবুক আমাদের কে কোথায় নিয়ে যাচ্ছে? আমাদের জীবনের মূল্যবান সময়গুলো এখন আমরা ব্যয় করি ফেইসবুকে।হয়তো দেখবেন কোন একদিন এই ফেইসবুক হবে তৃতীয় মহা বিশ্বযুদ্ধের বিশাল কারন। ইদানিং আন্দোলনের প্রথম ঝড়টি উঠে এই ফেইসবুক থেকে। যুগে যুগে গবেষকরা যা সৃষ্টি করেছেন সব মানুষের কল্যানার্থে। তবে মানুষ তার বিপরীত পথ অনুসরন করে হুমকির দিকে নিয়ে যাচ্ছে আগামীর প্রজন্মকে। মানুষের প্রতি মানুষের শ্রদ্ধা, ভালবাসা, কেমনজানি হারিয়ে যাচ্ছে, নিজেকে এই জগতের সেলিব্রেটি বানাতে ছোট, বড়,আবাল, বৃদ্ধ, বনিতা, সবাই প্রচুর সময় অতিবাহিত করছে এ জগতে। একটা সময় ছিল অবসরে মানুষ খেলতো, বন্ধুদের সাথে আলাপ করতো, আড্ডা দিতো। অফিসের ব্যস্হতা শেষে যখন বাসায়য় ফিরতো প্রিয় মানুষটির সাথে কত ভালবাসার গল্প আর খুনসুটিতে মেতেতে থাকতো। আর এখন দেখবেন কেউ সুপা সেটে কাত হয়ে কেউ আবার বেলকনিতে বসে সময় পার করে দিচ্ছে, মনেহয় যেন দুজন অপরিচিত মুখ তাইই যারর যার মত করে সে সময় পার করছে। আজকাল তাই বৈবাহিক সম্পর্কগুলো ঝুকে পড়তেছে পরকিয়াতে। এছাড়া সামাজিক এই মাধ্যমটা যে ক্ষেত্রবিশেষে ধীরে ধীরে সমাজের আগোচরে খারাপ কাজে ব্যবহৃত হতে শুরু করেছে,সেটি একটি বিশাল অংশই বুঝতে পারছে না এখনো। এই ফেসবুককে কাজে লাগিয়ে কি উন্নয়নমূলক কাজ না হচ্ছে চারপাশে! অজস্র মানবিক সংঘ কাজ হচ্ছে, সামাজিক ইস্যু নিয়ে অনেকেই তাদের ভাবনা অন্যের কাছে দিচ্ছে, মানুষ আলোচনা করছে। কিন্তু এসব মহৎকর্ম করা মানুষগুলোর সংখ্যা কত? প্রতি একশ জনে কত? কিংবা প্রতি হাজারে? লাখে কত?কোটিতে কত?বিলিয়নে কত?সারা বিশ্বে কত?আসলে সত্যিটা হচ্ছে, ফেসবুককে ভালো কাজে ব্যবহার করার মতো চিন্তাধারা এখনো বেশিরভাগ মানুষই রাখেন না। ফলে যেকোন ভুল সিদ্ধান্ত, মারামারি, তারপর হত্যা, এরপর উস্কানি, দাঙ্গা এখন অনেক কিছু হচ্ছে এই ফেইসবুকের কারনে।মানুষের নাগালের বাইরে চলে যাওয়া এই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম কোনদিন হবে বিশ্বের সবচেয়ে বড় দু:খ করার মত আবিষ্কার।এখনি সময় মানুষের নূন্যতম মূল্যবোধের বিকাশ হোক; গুজব নয়, ভণ্ডামি নয়, আবেগ নয়, মনটা সবার বাস্তবতা দ্বারা পরিচালিত হোক। তা না হলে বিশাল ক্ষতি হয়ে যাবে তরুন শিক্ষিত সমাজের, তখন ক্ষতিপূরণ দিয়েও কাজ হবে না…।চায়নারা কিন্তু ফেসবুক চালায় না। আজ তারা নিয়ন্ত্রণ করছে সারা দুনিয়ার তথ্য প্রযুক্তির বাজার। তাই ফেসবুককে খারাপ কাজে নয় ভালো কাজে ব্যবহার করার চেষ্টা করুন। প্রজন্ম তুমি মনে রেখো তুমিই আগামির কর্ণধার তুমিই আগামীতে চালাবে বিশ্ব।
বুধবার, ২৮ মার্চ, ২০১৮
পরকীয়া, অপকর্ম, মানবিক বিপর্যয় ও আগামী তৃতীয় বিশ্ব যুদ্ধের কারন হবে ফেইসবুক। ইমরান খান।
মহান রব মানুষকে সৃষ্টি করার পর, ধনী-গরিব, সুস্থ-অসুস্থ, শিক্ষিত-অশিক্ষিত, চাকুরিজীবী-গৃহকর্ত্রী যে যা-ই হই না কেন, সবাইকে একটি সম্পদ দিয়েছেন। তাহলো সময়। আমরা প্রত্যেকে এই সময় নামের মূলধন নিয়ে পৃথিবীতে এসেছি। আর আমাদের কাজ হচ্ছে এই মূলধন খাটিয়ে যতটা সম্ভব লাভ করে যাওয়া। কিন্তু প্রতিমুহূর্তে এই মূলধন একটু একটু করে ফুরিয়ে যাচ্ছে। তাই একে আমরা কীভাবে ব্যবহার করে কত লাভ করতে পারছি, তার উপর নির্ভর করে একসময় কে সফল হবো, আর কে দেউলিয়া হয়ে শেষ হয়ে যাবো। ফেইসবুক আসার পর থেকে আপনি কি লক্ষ্য করেছেন, ফেইসবুক আমাদের কে কোথায় নিয়ে যাচ্ছে? আমাদের জীবনের মূল্যবান সময়গুলো এখন আমরা ব্যয় করি ফেইসবুকে।হয়তো দেখবেন কোন একদিন এই ফেইসবুক হবে তৃতীয় মহা বিশ্বযুদ্ধের বিশাল কারন। ইদানিং আন্দোলনের প্রথম ঝড়টি উঠে এই ফেইসবুক থেকে। যুগে যুগে গবেষকরা যা সৃষ্টি করেছেন সব মানুষের কল্যানার্থে। তবে মানুষ তার বিপরীত পথ অনুসরন করে হুমকির দিকে নিয়ে যাচ্ছে আগামীর প্রজন্মকে। মানুষের প্রতি মানুষের শ্রদ্ধা, ভালবাসা, কেমনজানি হারিয়ে যাচ্ছে, নিজেকে এই জগতের সেলিব্রেটি বানাতে ছোট, বড়,আবাল, বৃদ্ধ, বনিতা, সবাই প্রচুর সময় অতিবাহিত করছে এ জগতে। একটা সময় ছিল অবসরে মানুষ খেলতো, বন্ধুদের সাথে আলাপ করতো, আড্ডা দিতো। অফিসের ব্যস্হতা শেষে যখন বাসায়য় ফিরতো প্রিয় মানুষটির সাথে কত ভালবাসার গল্প আর খুনসুটিতে মেতেতে থাকতো। আর এখন দেখবেন কেউ সুপা সেটে কাত হয়ে কেউ আবার বেলকনিতে বসে সময় পার করে দিচ্ছে, মনেহয় যেন দুজন অপরিচিত মুখ তাইই যারর যার মত করে সে সময় পার করছে। আজকাল তাই বৈবাহিক সম্পর্কগুলো ঝুকে পড়তেছে পরকিয়াতে। এছাড়া সামাজিক এই মাধ্যমটা যে ক্ষেত্রবিশেষে ধীরে ধীরে সমাজের আগোচরে খারাপ কাজে ব্যবহৃত হতে শুরু করেছে,সেটি একটি বিশাল অংশই বুঝতে পারছে না এখনো। এই ফেসবুককে কাজে লাগিয়ে কি উন্নয়নমূলক কাজ না হচ্ছে চারপাশে! অজস্র মানবিক সংঘ কাজ হচ্ছে, সামাজিক ইস্যু নিয়ে অনেকেই তাদের ভাবনা অন্যের কাছে দিচ্ছে, মানুষ আলোচনা করছে। কিন্তু এসব মহৎকর্ম করা মানুষগুলোর সংখ্যা কত? প্রতি একশ জনে কত? কিংবা প্রতি হাজারে? লাখে কত?কোটিতে কত?বিলিয়নে কত?সারা বিশ্বে কত?আসলে সত্যিটা হচ্ছে, ফেসবুককে ভালো কাজে ব্যবহার করার মতো চিন্তাধারা এখনো বেশিরভাগ মানুষই রাখেন না। ফলে যেকোন ভুল সিদ্ধান্ত, মারামারি, তারপর হত্যা, এরপর উস্কানি, দাঙ্গা এখন অনেক কিছু হচ্ছে এই ফেইসবুকের কারনে।মানুষের নাগালের বাইরে চলে যাওয়া এই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম কোনদিন হবে বিশ্বের সবচেয়ে বড় দু:খ করার মত আবিষ্কার।এখনি সময় মানুষের নূন্যতম মূল্যবোধের বিকাশ হোক; গুজব নয়, ভণ্ডামি নয়, আবেগ নয়, মনটা সবার বাস্তবতা দ্বারা পরিচালিত হোক। তা না হলে বিশাল ক্ষতি হয়ে যাবে তরুন শিক্ষিত সমাজের, তখন ক্ষতিপূরণ দিয়েও কাজ হবে না…।চায়নারা কিন্তু ফেসবুক চালায় না। আজ তারা নিয়ন্ত্রণ করছে সারা দুনিয়ার তথ্য প্রযুক্তির বাজার। তাই ফেসবুককে খারাপ কাজে নয় ভালো কাজে ব্যবহার করার চেষ্টা করুন। প্রজন্ম তুমি মনে রেখো তুমিই আগামির কর্ণধার তুমিই আগামীতে চালাবে বিশ্ব।
এতে সদস্যতা:
মন্তব্যগুলি পোস্ট করুন (Atom)
জুমার নামাজটা পড়তে পারলাম না।
একটার দিকে হানিফ পরিবহনে উঠলাম। আমার কোণাকুণি সামনের সিটে বসেছেন হুজুরটাইপ একজন লোক। তিনি বাস ছাড়ার পরপরই সুপারভাইজারকে বললেন ভাই আমি জুমা ...
-
মেয়ে=মানুষ, আর মাল মানে পণ্য। তাহলে আমরা কেন একটি মেয়েকে মাল বলি?মানুষ তো আমি আপনি সবাই।অর্ধেক নারী আর আর্ধেক নর। কিন্তু একটা মেয়ে মানুষ ম...
-
এমন জীবন করিও গঠন, মরনে হাসিবে তুমি, কাঁদিবে ভুবন। আধুনিক তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবসা খাতের আজীবনের সম্মাননা পাওয়া এক মহান ব্যক্তির নাম এম এন ইসল...
-
এই ছবিটি ধারন করেন ভাগিনা খালেদ।ছবিটি নলুয়া তালতল থেকে ধারনকৃত।অলস সময়ের এক ফাকে যখন আমরা সূর্যাস্তের ছবি তুলতে মত্ত,ঠিক সেই সময়ে ক্যামর...

কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন