শুক্রবার, ১২ জুন, ২০২০

প্রেসক্রিপশন যখন চেকের স্বাক্ষর! || ইমরান ||

গত ১৭.০৫.২০২০ ইংরেজী প্রবাস জীবনে প্রথমবারের মত আমি শারিরীক অসুস্হতা নিয়ে জেসির নামক এই ডাক্তারের শরণাপন্ন হই । একজন ‘সদালাপী’, ‘ভালো’ আর ‘মানবিক’ চিকিৎসক ডাঃ জেসির। বলতে পারেন রোগ নিয়ে গেলে তার আলাপনেই সারিয়ে তুলতে পারে অসুখের অনেকটাই। এই ডাক্তারাই দুর্যোগে কখনো মুদ্রিত অক্ষরে, কখনো ছোট পর্দায় ভেসে ওঠেন মানব সেবা করে। সহজ করে কঠিন রোগের পথ্য বাতলে দেন। নির্ভরতা পান সবাই। যাক সেই প্রসঙ্গ।

এবার আসল কথায় আসি। এখানে প্রথম প্রেসক্রিপশনটি আমার নিজের দেখানো ডাক্তারের। একটু বড় করে দেখলে আপনি সহসা প্রেসক্রিপশনটি বুঝতে পারবেন। সাথে দ্বিতীয় প্রেসক্রিপশনটি সংগৃহীত একজন বাংলাদেশী ডাক্তারের। একজন ডাক্তারের লিখা যদি এরকম হয় তাহলে সেই দেশে কারনে অকারনে রোগি মারা যাওয়ার কারন এই ডাক্তার আর তাদের প্রেসক্রিপশন নয় কি? জানিনা আমাদের দেশে কবে এই টাইপিং সিষ্টেমে রোগীর প্রেসক্রিপশন প্রক্রিয়া চালু করার জন্য সরকার কঠোর আইন করবে?

একজন ডাক্তার ৫০০ বা, ১০০০ এর উপরে ফি নেয়, অথচ তাদের এই দামি লিখাগুলো বৃদ্ধ মা বাবাদের পড়তে দাত ভেঙ্গে যায়। এমন কিছু ডাক্তার আছে তাদের এই জগন্য হাতের পারদর্শিতার কারনে অনুমান ও করা যায়না তারা কোন ঔষধটি লিখেছে। মানুষ সাধারনত যখন অসুস্হ হয় ব্রেইন অনেক সময় পরিপক্কভাবে কাজ করা ছেড়ে দেয়, এমনও কিছু পরিবার আছে যেখানে একজন বৃদ্ধ আর বৃদ্ধা ছাড়া কেউ থাকেনা, তাদের হাতে যখন এই জগন্য লিখাগুলো পৌছে কি বা করার তাকে তখন তাদের।

সম্মানীত ডাক্তারগন আপনাদের পেশাটা অত্যন্ত সম্মানের। খোদার পরে রোগাক্রান্ত সময়ে মানুষ আপনাদের উপরই শেষ ভরশাটা রাখে, তাই অর্থকে প্রাদান্য না দিয়ে আপনার মহৎ পেশা আর রোগীর কথা একটু বিবেচনা করবেন। আপনি আপনার সাধ্যের মধ্যে যতটুকো সম্ভব অস্পষ্ট লিখাকে স্পষ্ট করে লিখার বিনীত অনুরোধ রাখলাম। সেই সাথে আমাদের গনতান্ত্রিক রাষ্ট্র ব্যবস্হাও এই ইস্যুটিকে গুরুত্বের সহিত বিবেচনা করুক এমনটাই প্রত্যাশা।


ইমরান।
সৌদি আরব।

1 টি মন্তব্য:

জুমার নামাজটা পড়তে পারলাম না।

একটার দিকে হানিফ পরিবহনে উঠলাম। আমার কোণাকুণি সামনের সিটে বসেছেন হুজুরটাইপ একজন লোক। তিনি বাস ছাড়ার পরপরই সুপারভাইজারকে বললেন ভাই আমি জুমা ...