মানুষের মস্তিষ্ক এক অসাধারণ বায়ো-কম্পিউটার। এই কম্পিউটারে যে মানুষ যে রকম প্রোগ্রাম করবেন, তিনি সেরকম ফল পাবেন। যিনি হতাশ হয়ে নিজেকে বলবেন, তার দ্বারা কিছুই হবে না, তিনি জীবনে ব্যর্থ হবেন। আর যিনি হাজারো প্রতিবন্ধকতার মাঝেও যিনি বড় কিছু করার স্বপ্ন দেখবেন, তিনি ঠিকই তা করে ফেলবেন। বিশ্বাস বা প্রোগ্রামিং হয়ে গেলে বায়ো কম্পিউটার স্বয়ংক্রিয়ভাবে কাজ করে বিজয়ের মালা পরিয়ে দিবে আপনাকে। সাফল্যের জন্য যা কিছু করতে হয়, মন শরীরকে দিয়ে স্বতঃস্ফুতভাবে করিয়ে নেবে।
বাস্তব কখনো কখনো কল্পনার চেয়েও অবিশ্বাস্য হয়। কেউ যদি বলে আমি পঁচিশ বছর বয়সে অর্ধ পৃথিবীর সম্রার্ট হবো-কথাটা গাঁজাখুরি বলে উরিয়ে দেবেন অনেকে, কিন্তু আলেকজান্ডার তা হয়েছিলেন।
মানুষ তার স্বপ্নের চেয়েও বড় হতে পারে। মানুষ যা আশা করে তা যদি সে বিশ্বাসে রূপান্তরিত করতে পারে।
তাহলে তা সত্যিই পেতে পারে-এটাই হচ্ছে জীবনের ধর্ম। এটাই প্রকৃতির স্বাভাবিক নিয়ম। মানুষ যে তার স্বপ্নের সমান বড় হয় তা আমাদের চারপাশের যে সফল মানুষ আছেন তাদের কাছে জানতে চাইলেই আপনি জানতে পারবেন। বাংলাদেশের অন্যতম সেরা কেয়া কসমেটিকস-এর স্বত্বাধিকারী #আব্দুল_খালিক_পাঠান ছোট বেলায় স্বপ্ন দেখতো ব্যবসা করে অনেক টাকার মালিক হবেনন।যখন তিনি তৃতীয় শ্রেণী বা চতুর্থ শ্রেণীতে স্কুলে যাওয়ার সময় বাবা টিফিন বাবদ আট আনা বা বার আনা দিতেন, সেখান থেকে টাকা জমিয়ে কিনতেন চকলেট, বিস্কুট। আর রাস্তার পাশে বসে বিক্রি করতো। কিছু লাভ হতো তার। এভাবেই লাভের লোভে পড়ে গেল সে। বন্ধুর সাথে শুরু করলো মুরগির ব্যবসা। স্থানীয় বাজার থেকে কিনে দূরের বাজারে বিক্রি করতো। লাভের টাকা খরচ করতো না ফলে মূলধন বাড়তে লাগল। মুরগি ব্যবসায়ী হওয়াটা তার পরিবারে কেউই পছন্দ করত না। তাই মুরগি কিনে রাখতো বন্ধুর বাসায়। একদিন বন্ধু বলে মুরগিগুলো শেয়ালে নিয়ে গেছে। মুরগির কিছু পাখনা আর মায়া কান্না দিয়ে ভুলানোর চেষ্টা করলো কিন্তু আমি সে বুজতে পারলো কোন শেয়াল ওগুলো খেয়েছে। বুক ফেটে কান্না আসছিল তার সব পুজি শেষ, আর বুঝি ব্যবসায়ী হতে পরবে না। কিছুদিন পর নানা বাড়ী গেলো। বহু কষ্টে অল্প কিছু টাকা যোগার করলো নতুন ভাবে ব্যবসা শুরু করলো। এবার আর কোন অংশীদার নয়। পাইকারী কিনে রাস্তার পাশে বসে খুচরা বিক্রি করলো সে। স্বধীনতার যুদ্ধের অটো-প্রমোশনটা বাধা সাধলো ব্যবসায়। এক লাফে ক্লাস ফোর থেকে সিক্স-এ। বাবার কড়া হুকুম অনেক হয়েছে আর নয়, পান-বিড়ি বিক্রি বাদ দিয়ে মন দিয়ে লেখাপড়া করতে হবে। সুতরাং ব্যবসার অদম্য ইচ্ছাটাকে মনের খাঁচায় পুষে রেখে পড়ালেখায় মনোনিবেশ করলো সে।
“পরিনামে ১৯৭৮সালে মেট্রিক পাস। এর মাঝে আরেক ঘটনা শুধু প্রেম নয় একেবারে বিয়ে। মেনে নিল না কোন পক্ষই।তত্র স্ত্রী তার জমানো ৬০০ টাকা হাতে তুলে দিল। এই টাকাই তাকে নতুন করে স্বপ্ন দেখালো। শুরু করলো লাকড়ির ব্যবসা। এর মাঝে স্ত্রী তার পরিবার থেকে পাওয়া গয়নাটিও তার হাতে তুলে দিলো বিক্রি করে পেলাম হাজার পাঁচেক টাকা। পুকুর লিজ নিয়ে রুই মাছের পোনা ছাড়লো। কিন্তু পোনা বড় হতে লাগবে তিন বছর। অতদিন ধৈর্য ধরার মত সময় বা সামর্থ্য কোনটাই তার ছিল না। অতএব এক বছরের মাথায় বিক্রি করে আবার শুরু করলো লাকড়ির ব্যবসা। “
“এতদিনের আপ্রাণ চেষ্টা শ্বশুর মহাশয়ের দৃষ্টি কাড়লো, মন গললো তার, বাহ ছেলেটা তো বেশ পরিশ্রমী! তিনি তার ইটের খোলায় চাকরি দিলেন। কেরানির চাকরি বেতন ৬০০টাকা। কিন্তু সেখানেও বেশিদিন কাজ করা হলো না। মাথায় তো ব্যবসা, অনেক টাকার মালিক হওয়ার স্বপ্ন। চাকরি ছেড়ে কিস্তিতে প্রগতি থেকে একটা ট্রাক কিনলাম। ৪০ হাজার নগদ, বাকিটা সুদে পরিশোধ করতে হবে। ট্রাক তো হলো।”
এবার চালাতে হবে। ড্রাইভার রাখলাম, তার সাথে থেকে ট্রাক চালানোটাও শিখলাম মাত্র ১৫ দিনে। এবার পথে নামার পালা। দিনে ড্রাইভার আর রাতে সে চালাই এতে ডাবল আয়। এভাবে ৬ মাসে বেশ কিছু পুজি হয়ে এল। টাকা জমাতো পূবালী ব্যাংকে। একদিন ব্যাংকের অফিসার বললেন, ইটের ভাটা বানান, প্রয়োজনে ঋণ নেন। আমরা সহায়তা করবো। প্রস্তাবটা মনে ধরলো। সে জমি কিনে ফেললো। এবার ব্যাংক বেঁকে বসলো, তাকে ঋণ দেবে না।সে পড়লো মহাবিপদে, ঋণ দেবেন না তো আগে বড় বড় কথা বলেছিলো ক্যান? বিষয়টি তার শ্বশুরের কানে গেল। কী মনে করে তিনি সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিলেন। ২লাখ টাকা ঋণ দিলেন পরের বছর সোনালী ব্যাংক থেকে পেল ৩ লাখ টাকা। একে একে পাঁচ পাঁচটা ইট ভাঁটা হলো।
এবার স্বপ্ন দেখলো, নিটিং এন্ড ডাইং গার্মেন্টেস করা। ব্যংক ঋণ দেবে না। একজন কর্মকর্তা বললেন সে মাত্র মেট্রিক পাস। ইটের ব্যবসা করছে, তাই করুক। নিটিং এন্ড ডাইং ১০০ ভাগ রপ্তানি ব্যবসা। বিদেশী ক্রেতা আসবে তাদের সাথে ইংরেজীতে কথা বলতে হবে। এটা তার কর্ম নয়।সে বুঝাতে চাইলো, বিদেশ থেকে ক্রেতা এসে তার মালের কোয়ালিটি দেখবে। সে ইংরেজী জানে কিনা সেটা দেখবে না। তাদের বুঝানোর জন্য ইংরেজী জানা লোক তো থাকবেই। কিন্তু ব্যাংকারগণ সদয় হলেন না।তারও গেল জেদ চেপে। ভারত থেকে ১৮টি নিটিং মেশিন কিনে নিয়ে এলো। কাজ শুরু হলো পুরোদমে। এক পর্যায়ে ব্যাংকের লোকজন বুঝলো, ইংরেজি না জেনেও এই লাইনে ব্যবসা করা যায়, সফল হওয়া যায়। ব্যাংক কর্তৃপক্ষ সবকিছু দেখে গিয়ে ঋণ বরাদ্দ করলেন ১ কোটি ৫ লাখ টাকা। সেও স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেললো।
এখন তার শিল্প প্রতিষ্ঠান থেকে প্রতি বছর ৪০ কোটি টাকার কাপড় রপ্তানি করে। সেখানে প্রায় ৩ হাজার লোকের কর্মসংস্থান হয়েছে। সবশেষে হাত দেয় কসমেটিকস তৈরিতে। শুরু করলো কেয়া নারকেল তেল, পাউডার আর সাবান দিয়ে।”
শিল্পপতি আব্দুল খালেক পাঠান বলে সততা ও পরিশ্রমের কোন বিকল্প নেই। এর সাথে মেধা ও স্বপ্নের যোগ হলে সফলতা আসবেই। কখনো অন্যকে ঠকিয়ে বড় হওয়া যায় না।তার সেই মুরগি ব্যবসার অংশীদার বন্ধুটি কিন্তু এখনো একটি কারখানার কর্মচারিই আছে নাকি।
আপনার চোখে কোন স্বপ্ন আছে কি? বন্ধু বর্তমান যান্ত্রিক জীবন মানুষকে এতই ব্যস্ত করে তুলেছে যে আমাদের কাছে স্বপ্ন দেখার মতও সময় নেই। রাত দিন কীভাবে কেটে যায়,এক মাসের পর আরেক মাস চলে আসে, কেউই কিছুই জানতেই পারে না। বন্ধু! স্বপ্নই মানুষকে জীবন যুদ্ধে লড়াই করার ক্ষমতা প্রদান করে। স্বপ্ন না থাকলে আজ পৃথিবীতে কোন আবিষ্কার হত না। ঘুমের মধ্যে সবাই স্বপ্ন দেখে কিন্তু আমি খালি চোখে স্বপ্ন দেখার কথা বলছি, এ স্বপ্ন ঘুমের স্বপ্ন নয়-তা হলো আপনি কি পেতে চান, কোথায় যেতে চান, প্রত্যাশা এবং প্রাপ্তির স্বপ্ন।
যে স্বপ্নের জন্য আপনি মরতেও রাজি এমন স্বপ্ন। যদি স্বপ্ন থাকে তবে আপনি তা নিয়ে গভীরভাবে চিন্তা করবেন, নাকি তা কখনো পূরণ হবে না ভেবে নিয়েছেন? স্বপ্নকে কখনও আড়ল করবেন না। স্বপ্ন না থাকলে আপনি কখনও উন্নতি করতে পারবেন না, কারণ স্বপ্নই জীবনের জ্বালানী। তাই নিজের চোখ বন্ধ করে একটি সুন্দর স্বপ্ন দেখে নিন। তারপর তা পূরণের প্রতিজ্ঞা করুন এবং কাজে লেগে পড়ুন। এই স্বপ্ন পূরণের জন্য দৃষ্টিপাত করুন, সমস্ত ঝুকি গ্রহণ করুন সাহসের সাথে।
আপনি কোথায় আছেন সেটা গুরুত্বপূর্ণ নয়, আসলে আপনি কোথায় যেতে চান সেটাই গুরুত্বপূর্ণ।
বাস্তব কখনো কখনো কল্পনার চেয়েও অবিশ্বাস্য হয়। কেউ যদি বলে আমি পঁচিশ বছর বয়সে অর্ধ পৃথিবীর সম্রার্ট হবো-কথাটা গাঁজাখুরি বলে উরিয়ে দেবেন অনেকে, কিন্তু আলেকজান্ডার তা হয়েছিলেন।
মানুষ তার স্বপ্নের চেয়েও বড় হতে পারে। মানুষ যা আশা করে তা যদি সে বিশ্বাসে রূপান্তরিত করতে পারে।
তাহলে তা সত্যিই পেতে পারে-এটাই হচ্ছে জীবনের ধর্ম। এটাই প্রকৃতির স্বাভাবিক নিয়ম। মানুষ যে তার স্বপ্নের সমান বড় হয় তা আমাদের চারপাশের যে সফল মানুষ আছেন তাদের কাছে জানতে চাইলেই আপনি জানতে পারবেন। বাংলাদেশের অন্যতম সেরা কেয়া কসমেটিকস-এর স্বত্বাধিকারী #আব্দুল_খালিক_পাঠান ছোট বেলায় স্বপ্ন দেখতো ব্যবসা করে অনেক টাকার মালিক হবেনন।যখন তিনি তৃতীয় শ্রেণী বা চতুর্থ শ্রেণীতে স্কুলে যাওয়ার সময় বাবা টিফিন বাবদ আট আনা বা বার আনা দিতেন, সেখান থেকে টাকা জমিয়ে কিনতেন চকলেট, বিস্কুট। আর রাস্তার পাশে বসে বিক্রি করতো। কিছু লাভ হতো তার। এভাবেই লাভের লোভে পড়ে গেল সে। বন্ধুর সাথে শুরু করলো মুরগির ব্যবসা। স্থানীয় বাজার থেকে কিনে দূরের বাজারে বিক্রি করতো। লাভের টাকা খরচ করতো না ফলে মূলধন বাড়তে লাগল। মুরগি ব্যবসায়ী হওয়াটা তার পরিবারে কেউই পছন্দ করত না। তাই মুরগি কিনে রাখতো বন্ধুর বাসায়। একদিন বন্ধু বলে মুরগিগুলো শেয়ালে নিয়ে গেছে। মুরগির কিছু পাখনা আর মায়া কান্না দিয়ে ভুলানোর চেষ্টা করলো কিন্তু আমি সে বুজতে পারলো কোন শেয়াল ওগুলো খেয়েছে। বুক ফেটে কান্না আসছিল তার সব পুজি শেষ, আর বুঝি ব্যবসায়ী হতে পরবে না। কিছুদিন পর নানা বাড়ী গেলো। বহু কষ্টে অল্প কিছু টাকা যোগার করলো নতুন ভাবে ব্যবসা শুরু করলো। এবার আর কোন অংশীদার নয়। পাইকারী কিনে রাস্তার পাশে বসে খুচরা বিক্রি করলো সে। স্বধীনতার যুদ্ধের অটো-প্রমোশনটা বাধা সাধলো ব্যবসায়। এক লাফে ক্লাস ফোর থেকে সিক্স-এ। বাবার কড়া হুকুম অনেক হয়েছে আর নয়, পান-বিড়ি বিক্রি বাদ দিয়ে মন দিয়ে লেখাপড়া করতে হবে। সুতরাং ব্যবসার অদম্য ইচ্ছাটাকে মনের খাঁচায় পুষে রেখে পড়ালেখায় মনোনিবেশ করলো সে।
“পরিনামে ১৯৭৮সালে মেট্রিক পাস। এর মাঝে আরেক ঘটনা শুধু প্রেম নয় একেবারে বিয়ে। মেনে নিল না কোন পক্ষই।তত্র স্ত্রী তার জমানো ৬০০ টাকা হাতে তুলে দিল। এই টাকাই তাকে নতুন করে স্বপ্ন দেখালো। শুরু করলো লাকড়ির ব্যবসা। এর মাঝে স্ত্রী তার পরিবার থেকে পাওয়া গয়নাটিও তার হাতে তুলে দিলো বিক্রি করে পেলাম হাজার পাঁচেক টাকা। পুকুর লিজ নিয়ে রুই মাছের পোনা ছাড়লো। কিন্তু পোনা বড় হতে লাগবে তিন বছর। অতদিন ধৈর্য ধরার মত সময় বা সামর্থ্য কোনটাই তার ছিল না। অতএব এক বছরের মাথায় বিক্রি করে আবার শুরু করলো লাকড়ির ব্যবসা। “
“এতদিনের আপ্রাণ চেষ্টা শ্বশুর মহাশয়ের দৃষ্টি কাড়লো, মন গললো তার, বাহ ছেলেটা তো বেশ পরিশ্রমী! তিনি তার ইটের খোলায় চাকরি দিলেন। কেরানির চাকরি বেতন ৬০০টাকা। কিন্তু সেখানেও বেশিদিন কাজ করা হলো না। মাথায় তো ব্যবসা, অনেক টাকার মালিক হওয়ার স্বপ্ন। চাকরি ছেড়ে কিস্তিতে প্রগতি থেকে একটা ট্রাক কিনলাম। ৪০ হাজার নগদ, বাকিটা সুদে পরিশোধ করতে হবে। ট্রাক তো হলো।”
এবার চালাতে হবে। ড্রাইভার রাখলাম, তার সাথে থেকে ট্রাক চালানোটাও শিখলাম মাত্র ১৫ দিনে। এবার পথে নামার পালা। দিনে ড্রাইভার আর রাতে সে চালাই এতে ডাবল আয়। এভাবে ৬ মাসে বেশ কিছু পুজি হয়ে এল। টাকা জমাতো পূবালী ব্যাংকে। একদিন ব্যাংকের অফিসার বললেন, ইটের ভাটা বানান, প্রয়োজনে ঋণ নেন। আমরা সহায়তা করবো। প্রস্তাবটা মনে ধরলো। সে জমি কিনে ফেললো। এবার ব্যাংক বেঁকে বসলো, তাকে ঋণ দেবে না।সে পড়লো মহাবিপদে, ঋণ দেবেন না তো আগে বড় বড় কথা বলেছিলো ক্যান? বিষয়টি তার শ্বশুরের কানে গেল। কী মনে করে তিনি সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিলেন। ২লাখ টাকা ঋণ দিলেন পরের বছর সোনালী ব্যাংক থেকে পেল ৩ লাখ টাকা। একে একে পাঁচ পাঁচটা ইট ভাঁটা হলো।
এবার স্বপ্ন দেখলো, নিটিং এন্ড ডাইং গার্মেন্টেস করা। ব্যংক ঋণ দেবে না। একজন কর্মকর্তা বললেন সে মাত্র মেট্রিক পাস। ইটের ব্যবসা করছে, তাই করুক। নিটিং এন্ড ডাইং ১০০ ভাগ রপ্তানি ব্যবসা। বিদেশী ক্রেতা আসবে তাদের সাথে ইংরেজীতে কথা বলতে হবে। এটা তার কর্ম নয়।সে বুঝাতে চাইলো, বিদেশ থেকে ক্রেতা এসে তার মালের কোয়ালিটি দেখবে। সে ইংরেজী জানে কিনা সেটা দেখবে না। তাদের বুঝানোর জন্য ইংরেজী জানা লোক তো থাকবেই। কিন্তু ব্যাংকারগণ সদয় হলেন না।তারও গেল জেদ চেপে। ভারত থেকে ১৮টি নিটিং মেশিন কিনে নিয়ে এলো। কাজ শুরু হলো পুরোদমে। এক পর্যায়ে ব্যাংকের লোকজন বুঝলো, ইংরেজি না জেনেও এই লাইনে ব্যবসা করা যায়, সফল হওয়া যায়। ব্যাংক কর্তৃপক্ষ সবকিছু দেখে গিয়ে ঋণ বরাদ্দ করলেন ১ কোটি ৫ লাখ টাকা। সেও স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেললো।
এখন তার শিল্প প্রতিষ্ঠান থেকে প্রতি বছর ৪০ কোটি টাকার কাপড় রপ্তানি করে। সেখানে প্রায় ৩ হাজার লোকের কর্মসংস্থান হয়েছে। সবশেষে হাত দেয় কসমেটিকস তৈরিতে। শুরু করলো কেয়া নারকেল তেল, পাউডার আর সাবান দিয়ে।”
শিল্পপতি আব্দুল খালেক পাঠান বলে সততা ও পরিশ্রমের কোন বিকল্প নেই। এর সাথে মেধা ও স্বপ্নের যোগ হলে সফলতা আসবেই। কখনো অন্যকে ঠকিয়ে বড় হওয়া যায় না।তার সেই মুরগি ব্যবসার অংশীদার বন্ধুটি কিন্তু এখনো একটি কারখানার কর্মচারিই আছে নাকি।
আপনার চোখে কোন স্বপ্ন আছে কি? বন্ধু বর্তমান যান্ত্রিক জীবন মানুষকে এতই ব্যস্ত করে তুলেছে যে আমাদের কাছে স্বপ্ন দেখার মতও সময় নেই। রাত দিন কীভাবে কেটে যায়,এক মাসের পর আরেক মাস চলে আসে, কেউই কিছুই জানতেই পারে না। বন্ধু! স্বপ্নই মানুষকে জীবন যুদ্ধে লড়াই করার ক্ষমতা প্রদান করে। স্বপ্ন না থাকলে আজ পৃথিবীতে কোন আবিষ্কার হত না। ঘুমের মধ্যে সবাই স্বপ্ন দেখে কিন্তু আমি খালি চোখে স্বপ্ন দেখার কথা বলছি, এ স্বপ্ন ঘুমের স্বপ্ন নয়-তা হলো আপনি কি পেতে চান, কোথায় যেতে চান, প্রত্যাশা এবং প্রাপ্তির স্বপ্ন।
যে স্বপ্নের জন্য আপনি মরতেও রাজি এমন স্বপ্ন। যদি স্বপ্ন থাকে তবে আপনি তা নিয়ে গভীরভাবে চিন্তা করবেন, নাকি তা কখনো পূরণ হবে না ভেবে নিয়েছেন? স্বপ্নকে কখনও আড়ল করবেন না। স্বপ্ন না থাকলে আপনি কখনও উন্নতি করতে পারবেন না, কারণ স্বপ্নই জীবনের জ্বালানী। তাই নিজের চোখ বন্ধ করে একটি সুন্দর স্বপ্ন দেখে নিন। তারপর তা পূরণের প্রতিজ্ঞা করুন এবং কাজে লেগে পড়ুন। এই স্বপ্ন পূরণের জন্য দৃষ্টিপাত করুন, সমস্ত ঝুকি গ্রহণ করুন সাহসের সাথে।
আপনি কোথায় আছেন সেটা গুরুত্বপূর্ণ নয়, আসলে আপনি কোথায় যেতে চান সেটাই গুরুত্বপূর্ণ।

কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন