মিয়ানমারের আরাকানে আগুনের লেলিহানে জ্বলছে মুসলিম অধ্যুষিত গ্রামের পর গ্রাম।কি লিখবো নিজে ও বুঝতেছিনা। অল্প শোকে কাতর,আর অধিক শোকে পাথর। ভিতরে বিদ্রোহের এক বোবা কান্না।মুসলিম জনতার নিরবতা দেখে উচ্চ বিলাপে বলতে ইচ্ছে করে আমাকে একদিনের জন্য হলে ও জঙ্গি বানিয়ে বার্মায় পাঠিয়ে দাও। এই বর্বরতা আর সহ্য করার মত নয়।শত শত মুসলমান রোহিঙ্গা নির্বাক নির্বিকার হয়ে তাকিয়ে আছে মুসলিম বিশ্বের দিকে।আর কত দিন এই নীরবতা? তাহলে কি বুঝে নিবো মার খাওয়ার জন্যই মুসলিম নামক এই দূর্বল জাতীর পৃথিবীতে আবির্ভাব? নির্যাতনের শিকার ২ সহস্রাধিক মুসলমান আজ ট্রলারযোগে উভয় দেশের নৌ সীমান্তের কয়েকটি পয়েন্টে ৫ দিন যাবৎ ভাসমান অবস্থায় দিনাতিপাত করছে। এদের অনেকেই অসুস্থ হয়ে পড়েছে। উভয় দেশের কেউই এদের মানবিক সহায়তায় এগিয়ে আসছে না। তীব্রাকারে বৃদ্ধি পাচ্ছে হত্যা-গুম,নির্যাতন, সম্ভ্রমহরণ, অগ্নিসংযোগসহ দিন দিন লোমহর্ষক ঘটনা।আর কত নির্যাতনের শিকার হলে মুসলমান জাতীর বিবেক, মূল্যবোধ, মানবতা জাগ্রত হবে? বাংলাদেশে প্রবেশ নিষিদ্ধ।আজ মানবতা কোথায়? মানবতা কি শুধু বক্তিতার ভাষন? নাকি শুধু একটি পদ?যদি মানবতা মানবের জন্য হয় তাহলে কেন রোহিঙ্গাদের হাজার হাজার ঘরবাড়ি জ্বালিয়ে দেয়া হচ্ছে? বিরানভূমিতে পরিণত হয়েছে গ্রামের পর গ্রাম। এ অবস্থায় মানবিক বিপর্যয়ের মুখে পড়েছেন পৃথিবীর সবচেয়ে নিপীড়িত সংখ্যালঘু সম্প্রদায় রোহিঙ্গারা। চলমান সহিংসতায় হাজার হাজার মুসলমান রোহিঙ্গাকে এলো পাতারি কুপিয়ে হত্যা করা হচ্ছে।আজ তারা খাদ্য ও নিরাপদ আশ্রয়ের জন্য মরিয়া হয়ে দিগ বিদিগ ছুটে বেড়াচ্ছে। কিন্তু কোথাও নিরাপদ আশ্রয় মিলছে না। কোথাই আজ মানবতা! মানবতা! মানবতা?
নিরাপদ আশ্রয়ের জন্য পরিবার-পরিজন নিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশের চেষ্টা করলেও ব্যর্থ হচ্ছেন তারা।আমরা কি সত্যি মানুষ? নাকি মানুষ রুপী অমানুষ?কেন তাদের আজ বুকফাটা কান্না আর মৃত্যুকে মেনে নিয়ে আবার মিয়ানমারে ফিরে যেতে হচ্ছে হতভাগ্য রোহিঙ্গাদের? অনেকে আবার জীবন বাঁচাতে নৌকায় করে নদীতে থাকার চেষ্টা করছেন। অনেকের লাশ ভাসছে বঙ্গোপসাগরে। বর্তমান বিশ্বের সবচেয়ে নিগৃহীত সংখ্যালঘু হচ্ছে রোহিঙ্গা মুসলিমরা।যুক্তরাষ্ট, জাতিসংঘ এবং হিউম্যান রাইটস ওয়াচ বাংলাদেশের প্রতি আহ্বান জানালেও মিয়ানমারে গণহত্যা বন্ধে কার্যকর কোন পদক্ষেপ নিচ্ছেনা কেন?
চলুন সবাই মিলে যে যেভাবে পারি প্রতিবাদ জানাই। অন্তত ফেইসবুক মাধ্যমটাকে সবাই কাজে লাগাই। প্রচার করি যে যেভাবে পারি। হয়তো আল্লাহ তায়ালা চাইলে কোন প্রান্তে কোন করুন দৃশ্যের ধাক্কায় মানবতার দোয়ার খুলতে পারে।
নিরাপদ আশ্রয়ের জন্য পরিবার-পরিজন নিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশের চেষ্টা করলেও ব্যর্থ হচ্ছেন তারা।আমরা কি সত্যি মানুষ? নাকি মানুষ রুপী অমানুষ?কেন তাদের আজ বুকফাটা কান্না আর মৃত্যুকে মেনে নিয়ে আবার মিয়ানমারে ফিরে যেতে হচ্ছে হতভাগ্য রোহিঙ্গাদের? অনেকে আবার জীবন বাঁচাতে নৌকায় করে নদীতে থাকার চেষ্টা করছেন। অনেকের লাশ ভাসছে বঙ্গোপসাগরে। বর্তমান বিশ্বের সবচেয়ে নিগৃহীত সংখ্যালঘু হচ্ছে রোহিঙ্গা মুসলিমরা।যুক্তরাষ্ট, জাতিসংঘ এবং হিউম্যান রাইটস ওয়াচ বাংলাদেশের প্রতি আহ্বান জানালেও মিয়ানমারে গণহত্যা বন্ধে কার্যকর কোন পদক্ষেপ নিচ্ছেনা কেন?
চলুন সবাই মিলে যে যেভাবে পারি প্রতিবাদ জানাই। অন্তত ফেইসবুক মাধ্যমটাকে সবাই কাজে লাগাই। প্রচার করি যে যেভাবে পারি। হয়তো আল্লাহ তায়ালা চাইলে কোন প্রান্তে কোন করুন দৃশ্যের ধাক্কায় মানবতার দোয়ার খুলতে পারে।

কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন