সোমবার, ৬ ফেব্রুয়ারি, ২০১৭

রাগ থেকে তৈরী হয় দূরত্ব........!

লিখাটি অবশ্যই পড়বেন।লিখাটি প্রথম আঁলোর অধুনার পেইজ থেকে সংগৃহিত।
মানুষের মনের রয়েছে হাজারো প্রবৃত্তি। রাগ কিংবা ক্রোধ এর মধ্যে একটি। কমবেশি রাগ তো আমরা সবাই করি। কিন্তু এর মাত্রা যখন বেশি হয়ে দাঁড়ায়, তখন সেটা সমস্যার পর্যায়ে পড়ে যায়। আর এই রাগ যদি পছন্দের মানুষটি হরহামেশাই করতে থাকেন, তখন যেন সম্পর্কটাই তিক্ত হয়ে ওঠে।

পছন্দের মানুষের জন্য আমরা কত কিছুই না করি! শত ঝামেলা সত্ত্বেও একটি সম্পর্ক টিকিয়ে রাখা। কিন্তু কখনো যেন এই চেনা মুখটিই অচেনা হয়ে ওঠে। বিশেষ করে সামান্যতেই রেগে গেলে বোঝাপড়ায় একটা দূরত্বের সৃষ্টি হয়।
আচ্ছা আপনার এই পথ চলার সঙ্গীটি কেন রেগে যাচ্ছেন, সে বিষয়ে কখনো ভেবে দেখেছেন?রাগ খুবই স্বাভাবিক একটা ব্যাপার। কিন্তু সারাক্ষণই যদি একটা মানুষ রেগে থাকে, তাহলে সেটা সমস্যা হয়ে দাঁড়ায়। আর আমাদের বুঝতে হবে যে অবশ্যই এর পেছনে কিছু কারণ রয়েছে।’ কারণ হিসেবে হয়তো তাঁর অতিরিক্ত উদ্বেগ, হতাশা, একাকিত্ব, একঘেয়েমি বোধ। আবার অনেকের এটা জিনগতও হয়ে থাকে। তবে সািকোলজিষ্টদের মতে, উদ্বেগ, হতাশার জন্য যে খিটখিটে আচরণ দেখা দেয়, সেটা অধিক সমস্যার সৃষ্টি করে। এর ফলে ব্যক্তির শারীরিক ও সামাজিক বিভিন্ন সমস্যা দেখা দিতে পারে।

 এমনও দেখা গেছে যে শুধু রাগের কারণেই দীর্ঘদিনের একটি সম্পর্কে দূরত্ব তৈরি হয়ে যায়। আর ফলাফল দুজনেই দুই দ্বীপের বাসিন্দা।তাই বলে তো একটা সম্পর্ক এভাবে চলতে পারে না। প্রয়োজন কিছু বিষয় মেনে চলার।এটি পুরোই নির্ভর করছে আপনার ওপর, আপনি পছন্দের মানুষটির জন্য নিজে কতটা সহযোগিতা করবেন।’

·মানুষটির মানসিকতা বোঝার চেষ্টা করুন। তাঁর সঙ্গে খোলামেলা আলোচনা করুন। তাঁকে বুঝিয়ে বলুন যে রাগ করার ফলে আপনাদের সম্পর্কে কী ক্ষতি হচ্ছে।

·সরাসরি না বললে নিজে থেকেই বুঝতে শিখুন। যদি তিনি হতাশা, একঘেয়েমি থেকে এমন আচরণ করে থাকেন, তাহলে তাঁর উদ্বেগের কারণ জানার চেষ্টা করুন। তাঁকে উৎসাহ দিন।

·অনেক সময় তৃতীয় পক্ষের কারণেও সম্পর্কে বিভিন্ন সমস্যা দেখা দেয়। তাই যতটা সম্ভব তৃতীয় পক্ষকে এড়িয়ে চলুন। নিজেদের মধ্যকার সমস্যা কারও সঙ্গে আলোচনা করা থেকে বিরত থাকুন।

·আমাদের মধ্যে প্রচলিত একটি ধারণা রয়েছে যে সম্পর্কে যেকোনো এক পক্ষকে ছাড় দিয়ে চলতে হয়। এটি খুবই ভুল ধারণা। একটি সম্পর্ক টিকে থাকে দুজন মানুষেরই ইচ্ছায়। কাজেই সব সময়ই যে একজনকেই মেনে নিতে হবে এমন নয়। কেননা মানব মন কখনোই এক রকম থাকে না। তাই সব সময় এমন আশা করাটাও ভুল; বরং তাঁর রাগ হলে এবার আপনিই নাহয় বুঝিয়ে বলুন।
আবার দুপক্ষেরই সমান জেদ থাকে। কাজেই কে কাকে আগে সরি বলবেন, এটা নিয়েও সমস্যা হতে পারে। তাই দুজনেরই অহমবোধ কমিয়ে বোঝাপড়ার মানসিকতা রাখতে হবে।

প্রত্যেক মানুষেরই নিজস্ব কিছু সময় কাটানোর প্রয়োজন হয়। তাই প্রিয় মানুষটিকে সময় দিন। তিনি যাতে নিজে থেকেই বুঝতে পারেন।
আর সব থেকে ভালো সমাধান হলো আপনার পছন্দের মানুষটিকে উপলব্ধি করানো যে আপনি তাঁকে কতটা পছন্দ করেন। এই বোধটা কিন্তু দীর্ঘদিনের একটি সম্পর্কের জন্য বেশি প্রয়োজন।

পছন্দের মানুষের হাতটা ধরে এবার কাটিয়ে দিন জীবনের বাকি সময়!
কার্টেসি প্রথম আঁলো।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

জুমার নামাজটা পড়তে পারলাম না।

একটার দিকে হানিফ পরিবহনে উঠলাম। আমার কোণাকুণি সামনের সিটে বসেছেন হুজুরটাইপ একজন লোক। তিনি বাস ছাড়ার পরপরই সুপারভাইজারকে বললেন ভাই আমি জুমা ...